স্বপ্নের ডানা মেলে যে আঙিনায়

একটি গ্রন্থাগার শুধু বইপাঠে সীমাবদ্ধ থাকেনা। বইপাঠের পাশাপাশি পাঠককে আলো দেখায়, স্বপ্ন দেখায়, আগামীর পথ দেখায়, ভবিষ্যত গড়ার স্বপ্ন দেখায়। অতীতের সাথে বর্তমানের সেতুবন্ধন তৈরি করে দেয়। পাঠাগারের পাঠকরা এখানে বইপাঠের মধ্যদিয়ে নিজেদের জীবন গড়ার লক্ষ্য নিয়ে ভাবতে শুরু করে। তারা পড়ালেখার মাধ্যমে চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে সুন্দর ভবিষ্যত বুনতে স্বপ্ন দেখা শুরু করেন।
পাঠাগারের সদস্য সুমাইয়া আকতার জানান, এখানে বইপড়ার পর আমাদের ভাবনায় নতুন চিন্তাশক্তি যুক্ত হয়, নতুন ভাবনার সূচনা হয়, একেকটি বইপড়ার পরে মনে হয় আমরা নতুন একটি ডানামেলে উড়তে শিখছি। এই পাঠক আরও জানান, গ্রন্থাগারের মতো বিশাল জ্ঞানরাজ্যে প্রবেশ না করলে হয়তো এমন স্বপ্ন দেখা সম্ভব হতো না। এখানকার পাঠকের জন্য পাঠাগারটি যেনো স্বপ্নের ডানা মেলার এক বটবৃক্ষ।

পাছে লোকে কি বলে’ সেই ভয়কে পেছনে ফেলে পাঠাগারমুখী ওরা :
এই পাঠাগারের অধিকাংশ পাঠক নারী। শুরু থেকে নারী পাঠকদের আধিক্য ছিল পাঠাগারে। যার ধারাবাহিকতা এখনো বিদ্যমান।। প্রান্তিক জনপদের অন্ধকারাচ্ছন্ন সমাজে ‘পাছে লোকে কি বলে’ সেই ভয়কে পেছনে ফেলে নারীরা পাঠাগারমুখী হয়। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে নারী পাঠকরা পুরো লাইব্রেরি আঙিনাকে মুখরিত করে রেখেছে। তাদের পদচারনায় একটি পাঠকমুখী পাঠাগারে রূপ নেয় গ্রন্থাগারটি। তারা প্রতিদিন পাঠকরুমকে সচল রেখেছে। বর্ষা কিংবা খরা রোদের অসহ্য তাপমাত্রাকে পেছনে ফেলে নিয়মিত লাইব্রেরীতে এসে বইপাঠে যুক্ত থাকেন। দৈনিক ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ জন নারী পাঠকের উপস্থিতির দেখা মেলে পাঠগারে। নারী পাঠকের নিয়মিত পদচারণার ফলে এখন উপকূলীয় পাবলিক লাইব্রেরীকে সবাই নারী জাগরণের বাতিঘর হিসেবে অভিহিত করে।

কানিজ ফাতেমা: উপকূলীয় পাবলিক লাইব্রেরির একজন পাঠক সদস্য