পাঠাগারের জন্য তৈজসপত্র উপহার

আমরা আবারও আমাদের সভ্যতার দিকে ফিরে যেতে চাই। বর্তমানে একথাটি সবাই স্বীকার করে নিচ্ছেন যে, মাটির তৈরি তৈজসপত্র স্বাস্থ্যের জন্য উপকারি। এরই ধারাবাহিকতায় আমাদের পাঠাগারে ব্যবহারের জন্য মাটির তৈজসপত্রের সংগ্রহ।
মাটির তৈজসপত্র তৎকালীন প্রজন্মকে সুস্থ জীবনযাপনে সাহায্য করত। এরই ধারাবাহিকতায় এই উপমহাদেশের মানুষের মধ্যেও মাটির পাত্রে রান্না ও খাওয়ার প্রচলন ছিল।  সময়ের বিবর্তনে মাটির পাত্রের বদলে মানুষের ব্যবহার্য পণ্যের স্থানে জায়গা করে নেয় নন-স্টিক প্যান, প্লাস্টিক, অ্যালুমিনিয়াম, কাচ, লোহায় তৈরি নানা পণ্য।

কিন্তু এখন প্রতীয়মান হয়েছে যে, এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য শতভাগ উপকারী নয়। সৃষ্টি হচ্ছে নানান রোগ।
বিশেষজ্ঞরা বলেন,  ভারতীয় আয়ুর্বেদ ডা. সূর্য ভগবতীর মতে, মাটির পাত্রে রান্না করার ফলে শুধু বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতাই পাওয়া যায় না বরং এটি সহজতর রান্নার প্রক্রিয়া। এ ধরনের পাত্রে রান্না করলে খাবারের স্বাদ ও পুষ্টি দুটিই বেড়ে যায়। মাটির পাত্রে থাকা অসংখ্য ছিদ্র ও প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য তাপ এবং আর্দ্রতার সঞ্চালন ঘটায়।

ভারতীয় আরেক পুষ্টিবিদ ও ডায়েটিশিয়ান রিংকি কুমারীর মতে, মাটির পাত্রে রান্না করা খাবারে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং সালফার থাকে; যা মানবদেহের সুস্থতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মাটির পাত্রে রান্না করা একটি ধীর প্রক্রিয়া এবং এতে ন্যূনতম পরিমাণে তেল ব্যবহার করা হয়। এর ফলে খাবারে প্রাকৃতিক তেল এবং আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, চকচকে মাটির পাত্রে খাবার পরিবেশন দেখতেও ভালো লাগে।
এই তৈজসপত্র উপহার দিয়েছেন লেখক সজল চৌধুরী ও সাংবাদিক একেএম আবু ইউসুফ

সংগ্রহ তারিখ: ২৮ এপ্রিল ২০২৪ খ্রি.